মাঠের খেলায় কখনো তেমন একটা শিরোনাম হননি শ্রীলংকার ২৮ বছর বয়সী লেগস্পিনার জেফ্রি ভ্যান্ডারসাই। তবে এবার মাঠের বাইরের ঘটনায় বড় করেই আলোচনায় এসেছেন বছর তিনেক আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া এই ক্রিকেটার। তবে সেটিও কোন ইতিবাচক কারণে নয়।
লংকান ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ম বহির্ভূত কাণ্ড ঘটিয়ে এক বছরের জন্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন ভ্যান্ডারসাই। এর সাথে তার বার্ষিক চুক্তির ২০ শতাংশ কেটে রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে লংকান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)।
এই শাস্তির আওতায় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবেন তিনি। তবে এক বছরের মধ্যে আবার কোন কাণ্ড ঘটালে আজীবনের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে লংকান বোর্ড।
আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শ্রীলংকার ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, ‘তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মাত্রা বিবেচনা করে এই শাস্তি দেয়া হলো তাকে। ক্রিকেট বোর্ড তাকে এটিও জানিয়েছে যে শাস্তি চলাকালীন ঘরোয়া ক্রিকেটে আর কোন ভুল করলে শাস্তির মাত্রা আরো বেশি বেড়ে যাবে।’
ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধান করে জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’ জানিয়েছে গত জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নাইট ক্লাবে রাত কাটানোর কারণেই এমন শাস্তির সম্মুখীন হতে হলো ভ্যান্ডারসাইকে। সেইন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হওয়ার পর বার্বাডোজে তৃতীয় টেস্ট খেলতে যায় শ্রীলংকা।
তখন ভ্যান্ডারসাই আরো তিন ক্রিকেটারকে নিয়ে যান সেইন্ট লুসিয়ার একটি নাইট ক্লাবে। পরে অন্য তিন ক্রিকেটার যথাসময়ে টিম হোটেলে ফিরে এলেও সারারাত কাটিয়ে তবেই ফেরেন ভ্যান্ডারসাই। প্রাথমিকভাবে এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছিল লংকান বোর্ড। পরে যথাযথ তদন্ত ও বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত শাস্তির সিদ্ধান্ত নিলো এসএলসি।
এদিকে নিজের এমন কার্যকলাপের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন ভ্যান্ডারসাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজের প্রোফাইলে তিনি লিখেন, ‘আপনাদের মান রক্ষা করতে না পারায় আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এসএলসি আমাকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা যেটা আমি এমনিই ছেড়ে দিচ্ছি না। আমি ওয়াদা করছি আমার দল এবং দেশকে গর্বিত করার জন্য আমি সবকিছু করবো।’
২০১৫ সালের জুলাইতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর এখনো পর্যন্ত ১১টি ওয়ানডে ও ৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ভ্যান্ডারসাই। দুই ফরম্যাট মিলে উইকেট সংখ্যা মাত্র ১৪।